এপ্রিল ২৩, ২০২৪

বৈশ্বিক ব্যাংক খাতে চলমান সংকটের জেরে বেড়েছে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের দাম। ফলে ২০২০ সালের জুলাইয়ের পর স্বর্ণের বাজারে সেরা মাস হতে যাচ্ছে মার্চ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাতে বড় ধরনের সংকট এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। খবর রয়টার্স।

মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি আঞ্চলিক ঋণদাতার আকস্মিক পতন ঘটে। ফলে ২ হাজার ডলারের বেশি উঠে যায় দাম সূচক। তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া শুরু করলে স্থিতাবস্থা লাভ করে দাম।

বর্তমানে স্পট স্বর্ণের মূল্য শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮১ ডলার ৪৬ সেন্টে। বিপরীতে মার্কিন বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে দাম ১ হাজার ৯৮২ ডলার।

ডলারের অবমূল্যায়ন হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন ভিন্ন মুদ্রার বিনিয়োগকারীরা। আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন স্বর্ণের প্রতি। ফলে বুলিয়নের দাম ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বিশ্লেষক ইলিয়া স্পিভাক রয়টার্সকে বলেন, ‘‌ব্যাংক খাতের সংকট এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু বাজারে এ মুহূর্তে বিষয়টি দৃশ্যমান নয়। বরং স্বর্ণ এখন পর্যন্ত বেশ শক্ত অবস্থানেই এবং থাকবে। সার্বিকভাবে দাম ১ হাজার ৯৩০ ডলার থেকে ২ হাজার ডলারের মাঝামাঝি ওঠানামা করতে পারে। তবে ফেডারেল রিজার্ভ এখনো মূল্যস্ফীতির সূচক নিচে রাখার জন্য নীতিগত অবস্থান নিয়েছেন। ২০০৮ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাত সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্বর্ণের দামের বিপরীতে ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ইউএস পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচারের (পিসিই) প্রকাশিত উপাত্ত থেকে।

অন্যদিকে রৌপ্যের দাম দশমিক ১ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে দাঁড়িয়েছে ২৩ ডলার ৮৭ সেন্টে। বিপরীতে প্লাটিনামের দাম ছিল ৯৮৬ ডলারে অপরিবর্তিত। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। বর্তমান দাম প্রতি আউন্সে ১ হাজার ৪৫৭ ডলার ৩৯ সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ার বহুজাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এএনজেডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‌দক্ষিণ আফ্রিকায় সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়া ও বিনিয়োগের চাহিদার কারণে প্লাটিনামের দাম প্রতি আউন্স ১০০০ ডলারে দাঁড়াতে পারে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *