সদ্য সমাপ্ত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন ভারতের ৬ ক্রিকেটার। তবে চ্যাম্পিয়ন ভারতের অর্ধেকের বেশি খেলোয়াড় সেরা দলে ঢুকলেও রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকার একজনও নেই। শনিবার বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি–টোয়েন্টির ট্রফি জেতে ভারত।
ফাইনালে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার কেউ না থাকলেও সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তানের তিনজন আছেন সেরা একাদশে। আর সেমিফাইনালে না উঠলেও বিশ্বকাপের দলে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার একজন করে। আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে।
আইসিসির পক্ষে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ গঠনের দায়িত্বে ছিলেন দুই ধারাভাষ্যকার ভারতের হার্শা ভোগলে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইয়ান বিশপ, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রডকাস্টার কাস নাইডু এবং আইসিসির ক্রিকেটবিষয়ক মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খান। ১ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে ২০টি দল। এর মধ্যে প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়া দলগুলো ন্যূনতম ৪ ম্যাচ করে খেলেছে।
বিশ্বকাপের সেরা দলের জন্য অধিনায়ক ও ওপেনার হিসেবে ভারতের রোহিত শর্মাকে বেছে নিয়েছেন বিচারকেরা। রোহিত শিরোপাজয়ী দলটিকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৮ ইনিংসে ২৫৭)। তাঁর সঙ্গে ওপেনিংয়ে আছেন আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ, যিনি আফগান ইতিহাসে প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলা দলটির হয়ে করেন টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ২৮১ রান। গুরবাজ সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬০ রানসহ তিনটি ফিফটি করেন।
রোহিত–গুরবাজের সঙ্গে টপঅর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৩৮ গড়ে করেন ২২৮ রান। ভারতের সূর্যকুমার যাদব চার নম্বরে জায়গা পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে। সুপার এইটে আফগানদের বিপক্ষে ২৮ বলে ৫৩ ও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া সুপার এইট থেকে বাদ পড়লেও দলটির অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস সেরা দলে জায়গা করেছেন ১৬৯ রান ও ১০ উইকেট নিয়ে।
২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), নিকোলাস পুরান, সূর্যকুমার যাদব, মার্কাস স্টয়নিস, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রশিদ খান, যশপ্রীত বুমরা, অর্শদীপ সিং, ফজলহক ফারুকি। দ্বাদশ খেলোয়াড়: আনরিখ নর্কিয়া।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সেরা একাদশে জায়গা করা বাকি দুজনই ভারতীয়। ফাইনালের শেষ ওভার করা হার্দিক পান্ডিয়া টুর্নামেন্ট শেষ করেন ১১ উইকেট ও ১৪৪ রান নিয়ে। বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল ফাইনালে ৪৭ রান করার আগে সেমিফাইনালে ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হন ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
বোলিং আক্রমণের মূল চারজনের মধ্যে দুজন আফগানিস্তানের, দুজন ভারতের। রশিদ খান ৬–এর সামান্য বেশি ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট, আর ফজলহক ফারুকি ১৭ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন। ১৭ উইকেট নিয়েছেন ভারতের বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিংও। আর অবধারিতভাবেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশে আছেন যশপ্রীত বুমরা, যিনি মাত্র ৪.১৭ ইকোনমিতে ৮.২৬ গড়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। টুর্নামেন্টজুড়ে দলের দরকারি মুহূর্তে অবদান রেখে হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরাও।
৬–এর কম ইকোনমিতে ১৫ উইকেট নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার আনরিখ নর্কিয়া আছেন দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে।