শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সাংবাদিককে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এসবি জানায়, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের ‘ব্লকড লিস্ট’ এর কারণে দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে করে তাদের বিদেশ সফরের সময় আটকে দেওয়া যায় বা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যায়।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের বিশেষ শাখা আগের তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ভিন্ন মতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দিতে শুরু করে। কাজটির বেশিরভাগই হাতে-কলমে করা হচ্ছে। ফলে কিছু ভিন্ন মতাবলম্বী ও সাংবাদিকের নাম এখনও রয়ে গেছে। তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সম্পাদক নুরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে এসবি আরও জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী দৃষ্টান্ত গড়তে চায়।
এর আগে, শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে নূরুল কবির অভিযোগ করেন, গত ১৮ নভেম্বর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করে। ফেরার পথেও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না বলেও প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।