ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর আমাদের যতদূর হাঁটা উচিত ছিল আমরা ততদূর হাঁটতে পারিনি। এটা আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের উদ্দেশ্য ছিল অনেক বড় কিছু। কিন্তু সেটা হয়নি। তবে আপনাদের (বিনিয়োগকারী) সহযোগীতা নিয়ে সে জায়গাগুলো আমরা ঠিক করব।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রত্যাশার কথা বলেন।
হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, আপনারা সব সময় ডিএসইকে আপন ভাববেন। মনে করবেন, একই ছাদের নিচে ডিএসই ও বিনিয়োগকারীরা রয়েছেন। সুতরাং আপনাদেরকে নিয়ে আমরা আগামী দিনে কাজ করব। ভবিষ্যতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো। আপনারা আমরাদেরকে সুন্দন সুন্দর পরামর্শ দিয়ে সাপোর্ট দিবেন। ওই পরামর্শগুলো কাজে লাগাবো।
তিনি আরো বলেন, ডিএসইতে কোনো ক্রোন্দল নেই। আমরা একত্রিত। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করব। আমরা অতীত নিয়ে সমালোচনা করব না। আমাদের হারানোর কিছুই নাই। আমাদের সেই সৎসাহস রয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাতপর্বে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনার হাত ধরে আমরা একটি ভালো পুঁজিবাজার পাবো বলে পত্যাশা করছি। দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারের বেহালদশা রয়েছে। ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাত্র কয়েব বছর পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে ছিল। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজার স্বাভবিক অবস্থানে ফিরেছে। তবে বিভিন্ন কারণে বাজার আবার পতনমুখী হয়ে পড়েছে। সেই পতনে অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছে। পুঁজিবাজারে বেশ কিছু সমস্যা ছিল। নতুন কমিশন আসার পরে অনেক বিষয় সমাধান হয়েছে। আমরা অনেক আশাবদী যে, ডিএসই ও বিএসইসি মিলে একটি সুন্দর পুঁজিবাজার উপহার দেবেন।
এ সময় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মহসিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন শামীম, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. পারভেজ আলী, নির্বাহী সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।