বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছে ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ। সংগঠনটির সভাপতি এ কে মিজানুর রশিদ চৌধুরী এবং মো. সাজ্জাদুল হকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ঐক্য পরিষদের মতো এই সমস্ত বেনামী, অ-নিবন্ধভুক্ত ও ভুয়া বিনিয়োগকারী সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) পদক্ষেপ নিতে আহ্বান করা হয়েছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ।
ঐক্য পরিষদের মতো দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন, আইসিবি ইনভেস্টর ফাউন্ডেশন, চিটাগাং ইনভেস্টর ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। যেগুলোর পক্ষে দু-চারজন ব্যক্তি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে বলে অভিযোগ আছে।
অথচ ওইসব সংগঠনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ভুয়া ওইসব সংগঠনগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন পরিচালনা করে রুহুল আমিন আকন্দের নেতৃত্বাধীন ২-৪ জন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, পেশাদার প্রতারক মো. মশিউর রহমান বিপ্লব যে ঘটনা উল্লেখ করে বিনিযোগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিএসইসিতে অভিযোগ দাখিল করেছে, তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক। আসল ঘটনা হল মশিউর রহমান বিপ্লব আমাদের কোম্পানিতে চাকরিকালীন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম এবং অর্থ আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে চাকরির বিধি মোতাবেক গত বছরের ২১ আগস্ট তাকে কোম্পানির চাকরি থেকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে গত ১৮ ডিসেম্বর আমলি আদালত চাঁদপুরে মামলা নং সি আর ৪০৩/২০২৩ দায়ের করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, মামলা দায়েরের পর থেকেই মশিউর সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ব্রোকারেজ হাউজটির কাজকর্মে বাধাগ্রস্ত করা, কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। পরে এ বিষয়ে বিনিযোগকারী ঐক্য পরিষদের এ কে মিজানুর রশিদ চৌধুরী এবং মো. সাজ্জাদুল হক গত ১৭ জানুয়ারি ফার্স্ট ক্যাপিটালে যায় এবং অনৈতিক আর্থিক সুবিধা চায়। কিন্তু ব্রোকারেজ হাউজটি তাদেরকে কোনো রকম আর্থিক সুবিধা দিতে রাজি না হওয়ায়, তারা মশিউরের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে বিএসইসিতে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মিজানদের মতো কিছু বিনিয়োগকারী বিভিন্ন লিস্টেড কোম্পানি, আইপিও কোম্পানি এবং বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ থেকে নিয়মিত চাঁদা গ্রহণের কথা লোক-মুখে কথিত আছে। যা শেয়ারবাজারের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ। বিষয়টি তদারকি করে দেখার জন্য কমিশনকে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে।