ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কৌশল কিছুটা পাল্টাতে হবে। কারণ সামগ্রিক বাজার দেখতে গেলে অনেকগুলো বিষয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা চাপ প্রয়োগ করতে পারে। তাই যেসব বিনিয়োগকারী মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন তাদের শেয়ার নিয়ে কোনভাবেই শঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বিনিয়োগকারীদের জন্য এ পরামর্শ দিয়েছেন।
অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, রোববার থেকে আপনার পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কৌশলটা যেমন হতে পারে- ধরুন আপনি সামগ্রিক বাজার নিয়ে যদি খুব বেশি টেনশন করেন তাহলে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যেই স্টকটাতে বিনিয়োগ আপনার আছে, শুধুমাত্র সেই বিষয়টা নিয়ে কনসার্ন হবেন। কারণ সামগ্রিক বাজার দেখতে গেলে অনেকগুলো বিষয় আপনার মধ্যে একটা চাপ প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু আপনি যে কাজটা করতে পারেন, আপনি যে স্টকে বিনিয়োগে আছেন সেই স্টকটা কোন দিকে মুভ করছে সেটা ইম্পর্টেন্ট। কারণ ইনডেক্স যতই প্লাস হোক বা মাইনাস হোক আপনার স্টকটা যদি সেভাবে মুভমেন্ট না হয় তাহলে কিন্তু আপনার ওই ইনডেক্স প্লাস বা মাইনাসে কিছু অসে যায় না।
তিনি বলেন, তো সে কারণে যাদের মার্জিন ঋণ নেই তারা কিন্তু আসলে কোনভাবেই শেয়ার নিয়ে শঙ্কিত হবেন না। কারণটা হচ্ছে- বাজার যদি একটা কারেকশন ফ্লোতে থাকেও এক সময় না এক সময় তা রিকভার হয়ে যাবে। কিন্তু যাদের মার্জিন ঋণ আছে তারা একটু এক্সট্রা সতর্কতা হিসেবে কিছু ফান্ড অ্যারেঞ্জমেন্টের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যদি সেরকম ভাবে শেয়ার কারেশন হয়।
আল-আমিন আরো বলেন, আপনারা একটি বিষয় লজিক্যালি বিশ্লেষণ করে দেখতে পারেন সেটি হলো- দীর্ঘ দেড় বছর ফ্লোরে পড়ে থাকা যেসব শেয়ারে ক্রেতা আসেনি বা ১০ শতাংশ ডাউন সার্কিটে উল্রেখযোগ্য শেয়ার লেনদেন হয়নি, তাহলে হঠাৎ করেই ওই কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা চলে আসবে বিষয়টা কিন্তু সে রকম নয়। তো আপনাকে আগে একটু সময় দিতে হবে। কোন লেভেলে ক্রেতা আসে, আসার পর কেমন ভলিউম হয়, এতে বাজার কোন দিকে টার্ন করে, অনেকগুলো বিষয়কে বিবেচনা রেখেই কিন্তু বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তো এ মুহূর্তে যেসব বিনিয়োগকারীদের মর্জিন ঋণ নাই তাদের বাজার নিয়ে টেনশন করার কোনো কারণ নাই। বাজার যেদিকে যায়, আপনি শুধু নিরব দর্শক হিসেবেই দেখবেন। আর যদি আপনার মার্জিন ঋণ নেওয়া থাকে তাহলে অল্টারনেটিভ ফাইন্যান্সের ব্যাপারে একটু চিন্তা করবেন। যদি কোনো কারণে আপনার শেয়ার ট্রিগার সেলের আওতায় চলে আসে, সেজন্য ব্যাকআপ প্ল্যান রাখতে হবে। সবমিলিয়ে আমরার মনে হয়, আপনারা নিজ নিজ স্টকে কনসেনট্রেট করেন। এ মুহূর্তে ওভারঅল মার্কেট আপনার না বিশ্লেষণ করলেও চলবে।