পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ইএসজি প্রতিবেদন ২০২২ প্রকাশ করেছে বিএটি বাংলাদেশ। এদেশে প্রথম কোম্পানি হিসেবে গত বছর ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশের ধারাবাহিকতায় এবার নিয়ে এলো দ্বিতীয় প্রতিবেদন।
ইএসজি প্রতিবেদন সাধারণত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তার কর্মকান্ড প্রকাশ করতে এবং নিয়ম-কানুন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করে। পুজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিএটি বাংলাদেশ এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে শেয়ারহোল্ডার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য।
প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, বিএটি বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ঠিক করেছে; যার মধ্যে রয়েছে কার্বন নিঃসরণ কমানো, দায়িত্বশীল পানি ব্যবস্থাপনা, যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ ও মানুষের বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের ইএসজি উদ্যোগের মাধ্যমে জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৮টি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের ‘এসডিজি অর্থায়ন কৌশল – বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ অনুযায়ী টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাত থেকে ৪২ শতাংশ অর্থায়ন প্রয়োজন। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বেশ কয়েকটি বহুজাতিক এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে এবং এক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিএটি বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনটি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই প্রকাশিত হয়েছে। জিআরআই মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাসটেইনিবিলিটি প্রতিবেদনের বৈশ্বিক ফ্রেমওয়ার্ক মেনে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটির জন্য আগ্রহী বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ করে এই প্রতিবেদন পেতে পারে।