প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ১-২ দিনের মধ্যে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এরপর ১০-১৫ দিনের মধ্যে আরও বিদ্যুৎ যোগ হবে। তাহলে আর কোনো কষ্ট থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা লোডশেডিং করতে বাধ্য হয়েছি। মানুষের দুর্ভোগ আমি উপলব্ধি করতে পারি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (৭ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার জনগণ অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করছে। আমরা ভাবতে পারি না যে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে উঠবে। বৃষ্টির অভাবে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। আমরা বারবার মিটিংয়ে বসে উপায় খুঁজে বের করছি এবং এ দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী আছেন, যারা বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন; বুদ্ধিজীবী। আমি বিদ্যুৎ দিয়েছি, তারা এয়ারকন্ডিশন রুমে বসে বক্তৃতা দেয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নেয়। প্রাইভেট টেলিভিশনও আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। সেই টেলিভিশনের টক শোতে এসে আলোচনা করে- ‘এই বাজেট আওয়ামী লীগ কোনোদিনও কার্যকর করতে পারবে না’। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, করতে পারব; সেটা বুঝে শুনে আমরা বাজেট দিয়েছি। আমরা যা দিয়েছি তা করতে পারব।
তিনি বলেন, আমাদের দেওয়া বিদ্যুতে, ইন্টারনেটে, এসিরুমে বসে আমাদেরই সমালোচনা করা হয়। আমরা জানি কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখন কোন কথা বলতে হয়। ১০-১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির (বিদ্যুৎ) উন্নতি হবে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের কষ্ট বুঝতে পারছি আমরা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাহজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম।