সামর্থ্য থাকলেও ঋণ পরিশোধ না করলে কিংবা ঋণের অপব্যবহার করলে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। তারা বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। আজ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকা থেকে অব্যাহতির ৫ বছর পার না হলে তিনি কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবেন না।
সার্কুলারে এ ধরনের খেলাপি চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিল করার সুযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশনার আলোকে কাউকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করার পর তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে ব্যাংক থেকে নোটিশ দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে।