নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা বিদেশী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে তাদেরকে ঘৃণা জানাচ্ছি। কারণ, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তারা বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারছে না। দুর্গোৎসবকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আজ শুক্রবার ঢাকায় লালবাগস্থ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৩২,০০০ এর বেশি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্ণিল উৎসবের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দিকে আরো এগিয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন স্বপন কুমার সাহা, মানিক লাল সাহা, বাবুল দেবনাথ প্রমুখ।
খালিদ মাহমুদ বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী হচ্ছে উৎসবগুলো আরো বেশি বর্ণিল হয়ে উঠছে। আগামীতে বাংলাদেশ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। তখন আমাদের অর্থনীতি আরো বেশি শক্তিশালী হবে এবং উৎসবগুলো আরো বেশি বর্ণিল হবে।
অতীতে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে, ৭৫ এর সম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে দ্বন্দ্ব, সংঘাত সৃষ্টি করা হয়েছিল। দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করা হয়েছিল। অল্প কিছুদিন ১৯৯৬ সালে দেশ আলোকিত হয়ে উঠতে থাকে। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর আবার সব উৎসব মলিন হয়ে যায়। জঙ্গিবাদ কায়েম করা হয়। বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান সৃষ্টি করা হয়। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। সারাদেশে ৫শ’ জায়গায় সিরিজ বোমা হামলা করা হয়। আজকে সেসব জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।
৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে যেন আমরা ৭২ এর চেতনায় ফিরে যেতে না পারি। জঙ্গিবাদ দমন করেছি, কিন্তু তাদেরকে নির্মূল করতে পারিনি। ৭২ এর চেতনায় ফিরে যেতে পারলে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী পরে দুঃস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ এবং মন্দির পরিদর্শন করেন।