বিডিআর হত্যা নিয়ে কমিশন গঠন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে ২টি মামলা বিচারাধীন থাকায় সরকার আপাতত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। হাইকোর্টকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ রোরবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান এ তথ্য জানান।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিডিআর হত্যার পুরো ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠনের কথা বললেও আজ এমন তথ্য জানিয়েছে । ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সরকার বিডিআর হত্যার পুনঃতদন্ত চেয়ে আন্দোলন শুরু করে।
প্রসঙ্গে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এছাড়া সিআইডি বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বিচার চলাকালে তৎকালীন বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়।বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয় রক্তক্ষয়ী ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে।