বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান হিসেবে জালাল আহমেদকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে তাকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
চাকরির নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, চাকরি কমিশনের সার্বক্ষণিক চাকরি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কমিশনে নিযুক্ত থাকা অবস্থায় তিনি লাভজনক অন্য কোনো চাকরিতে নিয়োজিত হতে পারবেন না। তিনি যেকোনো সময় এক মাসের নোটিশ প্রদানপূর্বক রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করতে পারবেন, তার অপসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ১১ ধারা প্রযোজ্য হবে। তিনি অর্থ বিভাগের চিঠি অনুসারে মাসিক বেতন হিসাবে নির্ধারিত ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ভাতা বাবদ নির্ধারিত ৫০ হাজার ৬০০ টাকা প্রাপ্য হবেন। তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা ব্যয় প্রাপ্য হবেন।
এছাড়া তিনি তার ব্যবহারের জন্য একটি সার্বক্ষণিক গাড়ি প্রাপ্য হবেন। নিয়োগ প্রাপ্তির পর তিনি নিজ নামে বা বেনামে (পোষ্যদের নামে) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতভুক্ত কোনো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। চাকরি সংক্রান্ত অন্যান্য শর্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ দ্বারা ও তৎপরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রণীতব্য আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জালাল আহমেদ বিএনপি সরকারের সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে অতিরিক্ত সচিব হয়ে অবসরে যান।
এর আগে গত ২০ আগস্ট বিইআরসির সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান নুরুল আমিন এক চিঠিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন। সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তিনি। তবে এখনো কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৪ আগস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৮ আগস্ট থেকে অফিস অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে বিইআরসির নিয়মিত কার্যক্রম।