সদ্য সরকারিকৃত কলেজসমূহের শিক্ষক-কর্মচারীদের সচিব কমিটি হতে কোয়েরি (অধিকতর যাচাই-বাছাই) না দিয়ে অ্যাডহক নিয়োগের অনুমোদনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সদয় নির্দেশ দানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ (বাসকশিপ)।
রোববার (২৭ আগস্ট) সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে এ আবেদন করা হয়েছে।
শিক্ষকদের আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলা হয়, সদ্য সরকারিকৃত ৩৩৪টি কলেজের অসহায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বুকফাটা আর্তনাদ এবং কলেজগুলোর বর্তমান অবস্থার কথা আপনার কাছে পৌঁছাতে আমাদের এই আবেদন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েদের স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিতে ২০১৬ সালের ৩০ জুন ১৯৯টি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে প্রায় ৩৩৪টি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। এটি আপনার একটি মহতী উদ্যোগ। যা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
নানা প্রতিকূলতা পার করে এ পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ সম্পন্ন হওয়া কলেজের সংখ্যা ১৩৯টি। বাকি কলেজগুলোর মধ্যে অধিকাংশই প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি হতে অনুমোদিত হলেও অনেক শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিকতর যাচাই-বাছাই দেওয়া হযেছে।
ইতোপূর্বে আঞ্চলিক পরিচালক, মাউশি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে এবং তাদের সকলেরই পদসৃজন হয়েছে। নিয়োগ বাকি থাকা কলেজে নন-এমপিওসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীর পদ অনুমোদন হলেও সর্বশেষ তিনটি সচিব কমিটির মিটিং হতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ফাইল অধিকতর যাচাই-বাছাই এর কথা বলে ফাইল ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
ফলে নিয়োগ বাকি থাকা কলেজগুলোর প্রায় ৮ হাজারের অধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে এক চরম হতাশা নেমে এসেছে। সামাজিক ও মানসিকভাবে সবাই বিপর্যস্ত। সবচেয়ে করুণ অবস্থা ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের। গত ৫-৭ বছর ধরে তারা কলেজ থেকে কোনো বেতন পান না। ফলে পরিবার ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালানো বর্তমানে অসম্ভব হয়ে গেছে। অনেকে পরিবারের অসুস্থ বাবা-মাসহ ছেলে-মেয়েদের চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
তাই আত্তীকরণ সংক্রান্ত সকল জটিলতা দূর করে পদ সৃজন ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে অধিকতর সহজতর দাবি জানান শিক্ষকরা। একইসঙ্গে শিক্ষকবান্ধব করে সরকারিকৃত ১৯৫টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিকতর যাছাই না দিয়ে দ্রুত অ্যাডহক নিয়োগের লক্ষ্যে সচিব কমিটি হতে অনুমোদন প্রদানের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।