ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে ৪৫০ কোটি টাকা চেয়েছিল দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। পাঁচ বছর মেয়াদে এই অর্থ সরকারের কাছে চেয়েছিল বাফুফে। প্রাথমিক প্রকল্পে ৪৫০ কোটি থাকলেও পরবর্তীতে আরও বাড়িয়ে প্রকল্পটি পাচশ কোটির বেশি করা হয়েছিল।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হয়ে বাফুফের প্রকল্পের ফাইলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয় বাফুফের এই প্রকল্পে আপাতত অসম্মতি প্রদান করেছে। ফলে চলমান অর্থবছরে বাফুফের এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা নেই।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক ১ জানুয়ারি ২০২৩ হতে ৩০ জুন ২০২৭ খি: মেয়াদে বাস্তবায়িতব্যচ“
শক্তিশালী জাতীয় ফুটবল দল গঠনের লক্ষ্যে বছরব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণ প্রদান,প্রতিযোগিতাসমূহ আয়োজন এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর ক্ষমতায়ন ”শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পটির অর্থায়নে নির্দেশক্রমে আপাত অর্থ বিভাগের অসম্মতি প্রদান করা হলো।"
উপসচিব নাছরিন আক্তার স্বাক্ষরিত চিঠি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেয়া হয়েছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ হয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবে। বাফুফে সরকারের এই প্রকল্পের উপর একাডেমী, নারী ফুটবলারদের সম্মানী সহ নানা বিষয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। অর্থ বিভাগ অসম্মতি জানানোয় বাফুফের পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা লাগছে। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক মন্দা, দেশের সামগ্রিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এই অর্থ বছরে অসম্মতি থাকলেও আগামী অর্থ বছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পুনরায় চেষ্টা চলবে।
সরকার ফুটবল উন্নয়নের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাফুফে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। সেই বিশ কোটি টাকা দুই কিস্তিতে ছাড়করণের কথা ছিল। প্রথম দশ কোটি ছাড়ের পর বাফুফের হিসাব নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল।