দেশের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ল্যাপটপ সরবরাহ করার জন্য সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। এটি নকল ল্যাপটপের বাজার নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তার আগে বাজেট প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এটি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসানের প্রথম ও স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। নানা সংকটের মধ্যেও নতুন অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে। এজন্য এবারের বাজেট প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার’।
অর্থমন্ত্রী বলেন, একইসঙ্গে ল্যাপটপ আমদানিতে আরোপিত মূসক প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি। এতে সর্বমোট করভার ৩১ শতাংশ থেকে কমে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ এ গিয়ে দাঁড়াবে।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, কম্পিউটার ও কম্পিউটারসামগ্রী আমদানির জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমদানীকারক কোনও শর্ত ছাড়াই শুধু ৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে সব ধরনের কম্পিউটার ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি আমদানি করতে পারে। যা প্রকৃত কম্পিউটার সামগ্রী উৎপাদকগণের জন্য অসুবিধাজনক। এই অবস্থায় প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত কতিপয় পণ্যকে প্রজ্ঞাপনটি থেকে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করছি।