সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শক্তিশালী কুয়েতের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে বাংলাদেশ। তাতে প্রথমার্ধে যেমন কেউ গোলের দেখা পায়নি, তেমনি পায়নি দ্বিতীয়ার্ধেও। তাতে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছে। ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।
উভয় অর্ধে উভয় দল একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি। তবে কুয়েতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ছয়টি সুযোগ পেয়ে তার একটিও জালে জড়াতে পারেনি।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটেই ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন রাকিব হোসেন। তিনি বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের মধ্যে থাকা মোরসালিনকে। বল পেয়ে যায় মোরসালিন। তার সামনে ছিলেন কেবল কুয়েতের গোলরক্ষক আব্দুলরহমান। তাকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মোরসালিন। তিনি সরাসরি মেরে দেন গোলরক্ষের গায়ে। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজের মতো উরু দিয়ে বল ঠেকিয়ে দেন আব্দুলরহমান।
সপ্তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল কুয়েতও। এ সময় জটলার মধ্য থেকে নেওয়া শট গোললাইনের সামনে থেকে ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশের ঈসা ফয়সাল।
এরপর ৩১ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশ আরও একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। এ সময় বামদিক থেকে রাকিবকে উদ্দেশ্য করে মোরসালিন বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের মধ্যে। কিন্তু কুয়েতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা রাকিবকে শট নেওয়ার সুযোগ দেননি। রাকিব সুযোগ পেলে হয়তো গোলের দেখা পেয়ে যেতে পারতেন।
এভাবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের লড়াই।
বিরতির পর পরই ডি বক্সের বাইরে থেকে আচানক শট নেন রাকিব। সেটি ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে উড়ে যায়। এরপর ৬১ মিনিটের মাথায় জিরো ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে রাকিব আরও একটি শট নেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলটি ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে যায়।
৭২ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি তারা।
৮৭ মিনিটে আরও একটি দারুণ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। এ সময় ডানদিক থেকে ইব্রাহিমের বাড়ানো ক্রসে রাকিব কোনোরকমে মাথা লাগতে পারলেই গোল হতে পারতো। কিন্তু তিনি সেটি করতে পারেননি।
এই অর্ধে কুয়েত অবশ্য দারুণভাবে চাপে রাখে বাংলাদেশকে। মুহুর্মুহু আক্রমণে আনিসুর রহমান জিকোকে ব্যতিব্যস্ত করে ফেলেন। তাদের কুয়েতের খেলোয়াড়দের নেওয়া দারুণ দারুণ শটগুলো দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন জিকো। তাতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।