মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষ চলছে। দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের আরও কয়েকজন সশস্ত্র সদস্য পালিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এতে গত তিন দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ১৮ জন বিজিপি সদস্য সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে এসে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের মধ্যে ১৫ জনের বেশি আহত অবস্থায় এসেছেন। এদের মধ্যে ৯ জনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিজিবির কর্মকর্তারা জানান, গত তিন দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মি ও বিজিপির মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এর জেরে বিজিপির সদস্যরা অস্ত্রসহ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। পালিয়ে আসা বিজিপি কর্মকর্তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বিজিপির আহত সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মোট ৯ জন সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়েনের ধামনখালীর আনজুমানপাড়া এবং টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত থেকে মিয়ানমারে চলমান ব্যাপক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। পালংখালীর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গফুর উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তে এই এলাকার মানুষ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। ওপার থেকে ছোড়া গোলা এসে পড়েছে এপারের বিভিন্ন ঘরের চালে, বাড়ির উঠানে।’