বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারও দারুণ ভূমিকা রাখছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে কম অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলো ভালো রিটার্ন দিচ্ছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগের সঠিক জায়গা।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: বাংলাদেশ -ফ্রান্স ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট- প্যারিস ২০২৩’ শীর্ষক রোড শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ইউনেস্কোর অ্যাম্বাসেডর খন্দকার এম তালহা, ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট পিয়েরে জিন মালগুয়েরেস, দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী এবং স্টেকহোল্ডাররা অংশ গ্রহণ করেন। রোড শোটি সঞ্চালনা করেন এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের (এলআর গ্লোবাল) ব্যস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও রিয়াজ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোড শো উপলক্ষে একটি ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারও ক্রমবর্ধমান। সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের মোট মার্কেট ক্যাপিটাল ৭২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে মোট ইক্যুইটি মার্কেট ক্যাপিটাল ৪১.২১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালে অ্যাভারেজ মার্কেট টার্নওভার ৫৯ বিলিয়ন ডলার। কোভিড ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী বিগত দুই বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন- ভারত, পাকিস্তান, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়েও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে কম অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাই সম্প্রতি এচএসবিসি ব্যাংক জানিয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সঠিক জায়গা। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিগুলো ভালো রিটার্ন দিচ্ছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখনই বাংলাদেশে বিনিয়োগের সঠিক সময়। দেরি হওয়া আগেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। সেজন্য ফ্রান্সে অবস্থানরত প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে গ্রোইং ট্রেড রিলেশনশিপ রয়েছে। এ সম্পর্ক দিনে দিনে আরো শক্তিশালী হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অনেক বেড়েছে। আগামীতে বাংলাদেশ ফ্রান্সের কাছ থেকে বড় বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।
রোড শোতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি, শেয়ারবাজার ও সার্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতি এবং এফডিআই’র বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হয়।