জাপান বাংলাদেশের নির্বাচনকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায় না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার ঢাকাস্থ দূতাবাসে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর নিয়ে ব্রিফিংকালে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের আগেই বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে চায় জাপান বলে উল্লেখ করেছেন কিমিনোরি। জাপানের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সঙ্গে জাপানের নীতির মিল রয়েছে।
ব্রিফিংকালে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি। দুই দেশ একটি ‘অত্যন্ত বিস্তৃত ও লক্ষ্যভিত্তিক’ অংশীদারিত্বের দিকে মনোনিবেশ করছে।
আমাদের সম্পর্ক বিস্তৃত অংশীদারত্ব থেকে কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হয়েছে। কৌশলগত অংশীদারত্ব মানে শুধু রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু নয়। এ সময় জাপান বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর পাশাপাশি, উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এবং বে অফ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথের ক্ষেত্রেও জাপানের নতুন পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করেন রাষ্ট্রদূত।
উল্লেখ্য, বন্ধুপ্রতীম দেশটি বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন অংশীদার। দেশের বৃহৎ মেট্রোরেল প্রকল্প ছাড়াও আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল, মাতারবাড়িসহ বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পে অংশীদারিত্ব করে আসছে জাপান। তবে গত বছর বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির বিস্ফোরক মন্তব্য আলোচনার সৃষ্টি করে।
ওই ঘটনার পরদিনই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টিকে ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন’ ও অসৎ তৎপরতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির বক্তব্য অনাকাঙ্খিত।