ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটি থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এবং দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের মধ্যে লেটার অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং এবং কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০২০-২০২৭ মেয়াদে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নমনীয় ঋণ সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং কোরিয়া সরকারের পক্ষে দেশটির ইকোনমি অ্যান্ড ফিন্যান্স মিনিস্টার সিওং উক কিম স্বাক্ষর করেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) ইআরডি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। শেরেবাংলা নগরে ইআরডি কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
কোরিয়া সরকার তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় ঋণসহায়তা দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে কোরিয়া সরকারের সহায়তায় ৬১৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে মোট ১৬টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া ৬১৬.২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৭ টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান।
কোরিয়া সরকার এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ১.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নমনীয় ঋণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত তিন বিলিয়ন ডলার নমনীয় ঋণ সহায়তা আগামী ৫ বছর (২০২৩-২০২৭) মেয়াদে বিভিন্ন বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে।
স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত প্রতিটি প্রকল্পের ঋণ চুক্তির বাৎসরিক সুদের হারের পরিমাণ ১ শতাংশ (নমনীয় ঋণ)। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৭ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর এবং ম্যানেজমেন্ট ফি ০ দশমিক ৪ শতাশ । ঋণের আওতায় বাস্তবায়িত প্রকল্পে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।