বিজ প্রতিবেদক
বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, বাংলাদেশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ব পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে আমাদের বস্ত্র শিল্প খাতটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। সব মিলিয়ে বস্ত্রশিল্পের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
শনিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বস্ত্র শিল্পমালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।
তিনি বলেন, ‘যেসব মিল ক্যাপটিভ পাওয়ার জেনারেশনের মাধ্যমে চালু থাকে বিশেষত ঢাকার আশপাশে- নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, মাধবদী, আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, শ্রীপুর, ভালুকা অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় অবস্থিত। এসব মিল মূলত গত কয়েক মাস যাবৎ গড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ থাকা সময়ে মিলগুলো মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে।’
বস্ত্র খাতে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট নিয়ে সমস্যা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে এসব কথা বলেন তিনি।
বিটিএমএ সভাপতি খোকন বলেন, ‘আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, বাংলাদেশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সামগ্রিক বিশ্ব পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে আমাদের প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। যে বিষয়টি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আমাদেরকে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা হলো জ্বালানি তথা গ্যাসের তীব্র সংকট। যার কারণে আমাদের মিলগুলোর উৎপাদন দীর্ঘদিন যাবৎ কার্যত বন্ধ রয়েছে।’
‘সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি উপদেষ্টাসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। বিভিন্ন দফায় শরণাপন্ন হওয়ার পরও এর কোনো সমাধান নেই, বরং সমস্যাটি বর্তমানে তীব্র ও অসহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে।’
খোকন বলেন, ‘২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিতে টেক্সটাইল খাত মোট ২৯ বিলিয়ন ডলারের মূল্য সংযোজন করেছে। তবে এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের হার ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। অন্যদিকে মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে ওভেন ও ডেনিমের হার হচ্ছে ৪৫ শতাংশ।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ সহসভাপতি ফজলুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক মোশাররফ হোসেন, আবদুল্লাহ জোবায়ের, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মোনালিসা মান্নান প্রমুখ।