বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে বন্ডের বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারের এক্সপ্রোজারের বাহিরে রাখতে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী কেবিনেট মিটিংয়ে এই আইনটি পাশ করা হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা।
বন্ডকে এক্সপ্রোজারের বাহিরে রাখা হলে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কমবে এবং ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার (৪৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) ঋণ পেতে যাচ্ছে। তবে এ ঋণ পেতে হলে বন্ডের বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারের এক্সপ্রোজারের বাহিরে রাখতে হবে।
বন্ডে বিনিয়োগ পুঁজিবাজার এক্সপোজার হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকে অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে বলে মনে করছে ‘বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। পুঁজিবাজারের ভারসাম্য রক্ষা ও পরিধি বাড়ানো এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সকল প্রকার (তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত) বন্ডকে পুঁজিবাজার এক্সপোজারের বাইরে রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিএমবিএ বলেছে, ‘আমাদের পুঁজিবাজার ইকুইটি নির্ভরশীল হওয়ায় ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। বন্ড পুঁজিবাজারের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমতাবস্থায় সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বন্ডে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে এক্সপোজার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিষয়টি ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিতও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এটি করা হলে তা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়ক ভূমিকা ছাড়া পুঁজিবাজারের গতিশীলতা চলমান রাখা কঠিন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বরাবর লিখিত এক চিঠিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ আবেদন জানানো হয়েছে।