বইমেলায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছে ডিএমপি কমিশনার। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
নাশকতা ও জঙ্গি হামলার হুমকি না থাকলেও বইমেলায় থাকছে কড়া নিরাপত্তা। থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়। প্রবেশ মুখে তল্লাশি ছাড়াও রাখা হয়েছে ড্রোন ও গোয়েন্দা নজরদারি।
এসময় সংবাদিকদের বলেন, মেলার প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর চেক করা হবে। সিসিটিভির মাধ্যমে মেলা ও তার আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হবে জানান ডিএমপি কমিশনার।
হাবিবুর রহমান বলেন, বইমেলা অসাম্প্রদায়িক আয়োজন। এই আয়োজনকে বিভিন্ন সময় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতার অতীত ঘটনা রয়েছে। এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই।
তিনি বলেন, তবে সবদিক মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজ করবে গোয়েন্দা ইউনিট। এছাড়া মোবাইল ও সাইবার পেট্রোলিং, ডগ স্কোয়াড, সোয়াত টিম ও ড্রোন নজরদারি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এবারের বই মেলায় এক হাজারের উপরে স্টল থাকবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেনম প্রতিদিন এক লাখ মানুষের সমাগম হবে।
তিনি বলেন, এবারের মেলায় বিশেষ একটি সুবিধা যুক্ত হয়েছে। মেট্রোরেলের একটি স্টেশন মেলার গাঁ ঘেষে। তাই দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা বাড়বে। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিটিউট গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে দর্শনার্থীদের মেলায় প্রবেশ সহজ হবে।
ভাষার মাসে শুরু হচ্ছে প্রাণের বই মেলা। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রকাশকরা। তবে বেশি ভাগ স্টলের কাজ এখনও শেষ হয়নি।