যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বন্দুক হামলা চালিয়ে ওই তিনজনকে হত্যার পর হামলাকারী নিজেও মারা গেছেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত জ্যাকসনভিল শহরের একটি স্টোরে এই ঘটনা ঘটে। রোববার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে এক বন্দুকধারী বর্ণবাদী বা জাতিগতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলায় তিনজন কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করেছে এবং তারপর নিজেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শহরের শেরিফ জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, হামলাকারী ওই ব্যক্তিকে শ্বেতাঙ্গ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তার বয়স ২০ বছরের বেশি। হামলার আগে তিনি ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিল শহরের ডলার জেনারেল স্টোরে প্রবেশ করেন এবং গুলিবর্ষণ শুরু করেন। যার ফলে পুলিশের সাথে তার সংঘর্ষ শুরু হয়।
জ্যাকসনভিলের শেরিফ টি কে ওয়াটার্স বলেছেন, বন্দুকধারীর হাতে দুজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হয়েছেন। গুলিবর্ষণের সময় হামলাকারী তার শরীরে বর্ম পরিধান করেছিল।
এছাড়া এই হামলাকারীর নাম এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। হামলার সময় বন্দুকধারীর কাছে হালকা ওজনের আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং একটি হ্যান্ডগান ছিল। তিনি একাই এই হামলা চালান এবং পরে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত এই হামলাকারী তার বাবা-মায়ের সাথে জ্যাকসনভিলের ক্লে কাউন্টিতে থাকতেন বলেও জানিয়েছেন শেরিফ ওয়াটার্স। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
এদিকে জ্যাকসনভিলের মেয়র ডোনা ডিগান এটিকে বর্ণবাদী বিদ্বেষ থেকে চালিত ‘ঘৃণাপূর্ণ অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই ধরনের বন্দুক হামলা মোকাবিলা করা খুবই কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।