দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে এক আঞ্চলিক গভর্নরসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। কয়েকদিন ধরে দেশটিতে স্থানীয় রাজনীতিবিদদের ওপর হওয়া হামলার সর্বশেষ ঘটনা এটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার (৪ মার্চ) নেগরোস ওরিয়েন্টাল প্রদেশের গভর্নর রোয়েল দেগামোর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন ছয় বন্দুকধারী আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক পরে পাম্পলোনা শহরে অবস্থিত গভর্নর রোয়েল দেগামোর বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেন। সেখানে ঢুকেই তারা গুলি ছোড়েন।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গভর্নর রোয়েলসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। এছাড়া এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পাম্পলোনার মেয়র জেনিস দাগেমো এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে ফেসবুকে বলেছেন, ‘গভর্নর দাগেমো এ ধরনের মৃত্যু প্রাপ্য ছিলেন না। শনিবার তিনি তার দায়িত্ব পালন করছিলেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের অবস্থা কেমন, এ বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
গভর্নর দাগেমোকে তার প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসে ফিলিপাইনে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে প্রথমে নেগরোস ওরিয়েন্টেল শহরের গভর্নর হিসেবে দাগেমোর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জয় পান। কিন্তু পরবর্তীতে ভোট পুনর্গণনা করা হয় এবং আদালত রায় দেন দাগেমো নির্বাচিত হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে দাগেমো গভর্নরের দায়িত্ব নেন। কিন্তু এক মাস না পেরুতেই গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। গুলিতে নিহত গভর্নর দাগেমো প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের দলীয় লোক ছিলেন।
ফিলিপাইনে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতেই দক্ষিণাঞ্চলের লানাও দেল সুর প্রদেশের গভর্নর মামিনাতাল আদিয়ংকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় তিনি বেঁচে গেলেও তার গাড়িচালক ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত তিন পুলিশ সদস্য নিহত হন। একই মাসে উত্তরাঞ্চলের আপারি শহরের উপ-মেয়র রোমেল আলামেদাসহ পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।