আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজির সঙ্গে ইতোমধ্যেই দুটি মৌসুম পার করছেন। তবে সময়ে-অসময়ে তার সঙ্গে বার্সা সম্পর্কিত নানা ইস্যু নতুন করে আলোচনায় আসে। সেসবের মধ্যে বেশিরভাগই মেসির সাবেক ক্লাব বার্সায় ফেরা নিয়ে। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন ইস্যুতে বার্সেলোনা শিরোনামে এসেছে। বার্সায় থাকাকালে মেসির সতীর্থ ছিলেন ডাচ গোলরক্ষক ইয়াসপার সিলেসেন। তার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছেন সাবেক প্রেমিকা মারিয়া মোরান।
ক্রীড়া সাংবাদিক মারিয়ার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে তার ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন মেসির সাবেক সতীর্থ সিলেসেন। সম্পর্ক থাকাকালে সিলেসেন মারিয়াকে গর্ভপাতের জন্য লাগাতার জোর প্রয়োগ করতেন। কিন্তু তার কথায় রাজি না হলে পরে মারিয়ার প্রাইভেট ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিতেন সাবেক বার্সা গোলরক্ষক।
গত ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন মারিয়া। সিলেসেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সম্পর্ক থাকাকালে মেয়ের পিতৃত্ব অস্বীকারের কথা তুলে ধরেছেন। তবে ওই বিষয়ে মেসির সাবেক এই সতীর্থের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও মারিয়ার বিস্ফোরক অভিযোগকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বেশ আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
সিলেসেন ও তার সাবেক প্রেমিকা মারিয়া
কৈশোর থেকে বার্সার জার্সিতে পায়ের জাদু দেখিয়েছেন মেসি। তবে তার সতীর্থ সিলেসেন ক্লাবটিতে আসেন আরও পরে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনি বার্সোলোনার হয়ে খেলেছেন। ওই সময়কালেই মারিয়া সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। মারিয়ার মতে, ২০২১ সালের অক্টোবরে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেও ডাচ গোলরক্ষক তাকে মেয়ের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পরে বাধ্য হয়ে ২০২২ সালের শেষের দিকে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন মারিয়া। ওই মামলায় সিলেসেনের কাছ থেকে মেয়ের স্বীকৃতি চাওয়া হয়। পরবর্তীতে মেয়ের পিতৃত্ব স্বীকার করেন সাবেক ওই ডাচ গোলরক্ষক।
সে বিষয়ে মারিয়া বলছেন, ‘সিলেসেন আমাকে সবসময়ই ব্ল্যাকমেইল করত। যখন গর্ভবতী ছিলাম, তখনও একই রকম আচরণ করত সে। আমাকে সবসময় ভয়ের মধ্যে রেখে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিত। গর্ভপাত না করালে আমার ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিত সিলেসেন। এমনকি আমাকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে দিত না।’
বর্তমানে মানসিক নির্যাতন আর সহ্য করতে হচ্ছে না মারিয়ার। কেননা সাবেক বার্সা গোলরক্ষকের সঙ্গে তিনি সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। এখন কেবল মেয়েকে নিয়ে থাকতে চান মারিয়া, ‘ওই লোকটাকে নিয়ে আর ভাবতে চাই না। আমি এখন শুধু মেয়েকে নিয়ে ভাবি। মেয়ের খাবারের সংস্থান করাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য। একটা লোক কখনও নিজের মেয়ের খোঁজ নেয়নি। মেয়ে যখন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল, তখন একদিনও দেখতে যায়নি। ওর প্রতি আমার আর কোনও সম্মান নেই। মেয়ের গুরুতর অসুস্থতাতেও সিলেসেনের কিছু যায় আসে না।’