রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (এইচপিএমও) নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সেখানে বিপুল সংখ্যক সেনাসদস্যকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি চলাকালীন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলে তার কার্যালয় ঢুকে পড়েন সাধারণ জনগণ। সেখানে ভাঙচুর করা হয়, বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যান উৎসুকরা। এরপর আগুনও দেন তারা।
দেখা যায়, সেনা সদস্যরা ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন। কাউকে তারা ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। বাইরে অবস্থান করছেন শত শত মানুষ। কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, অফিসের কাগজপত্র, কয়েকটি পোড়া গাড়ি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়োজিত বাইরের পুলিশের চৌকিগুলো ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে আছে। ভেতরের চৌকিগুলোতেও সেনা সদস্যরা পাহারারত।
এর আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সাধারণ জনগণ এইচপিএমওর সম্মুখভাগের উত্তর সাইডের দেয়ালের তিনটি স্থান ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এরপর সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙা দেয়ালগুলো দিয়ে ভেতরে দেখছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শেখ হাসিনার পতন নিয়ে মজিদ নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, কালকের বিজয় আনন্দে ভেতরে যাওয়া হয়নি। আজকে দিনের আলোয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দেখতে এসেছিলাম। সেনারা পাহারা দিচ্ছে, ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে থেকে দেখছি। হাসিনার বিদায়ে আমি খুবই আনন্দিত। বাকস্বাধীনতা ছিল না। কথা বলার সুযোগ ছিল না। ব্যবসা করতে মানুষকে টাকা দিতে হতো। শেখ হাসিনা পালিয়েছে এখন আমরা মুক্ত। আগে যারা টাকা নিতো এখন তারা আর কেউ নেই। এখন আমরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারব। মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরবো। কেউ ধমক দেবে না। ব্যবসা করতে গিয়ে কাউকে টাকা দিতে হবে না। আমরা এটাই চেয়েছিলাম।