কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলার ১০ আসামিকে আদালতে পুলিশ নিরিপত্তায় নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামিরা যেন নিজেরা নিজেদের ওকালতনামা দাখিল ও জামিন শুনানি করতে পারে সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিরা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার খালের পাড় গ্রামের মো. রাসেল মিয়া, মো. জুবায়ের মিয়া, মো. ফাইজুল ইসলাম, মো. কফিল উদ্দিন, মো. রাজিব মিয়া, মো. রুবেল মিয়া, মো. সোহেল মিয়া, মো. নজরুল ইসলাম, মো.আব্দুল মালেক ও মো. আ: কাইয়ুম (ধনু মিয়া)
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) আসামিদের আইনজীবী সামসুদ্দিন বাবুল আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সামসুদ্দিন বাবুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জমি-জমাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কিশোরগঞ্জ আদালত চত্বরে উকিল সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকের এক পর্যায়ে মারধরের অভিযোগ এনে গত ১২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রউফ মামলা দায়ের করেন। ১২ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এই মামলায় গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট ১০ জনকে জামিন দেন। একই সঙ্গে ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
কিন্তু মামলার বাদী কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির প্রভাবশালী সদস্য হওয়ায় কোনো আইনজীবী আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করতে রাজি হচ্ছেন না। এছাড়া আসামিরা আদালতে যেতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ অবস্থায় কিশোরগঞ্জ আদালত থেকে এই মামলা অন্য জেলার আদালতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করা হয়। এই আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট ১০ জনকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে আসামিদের আইনজীবীর অভিযোগ, উকিল সালিশ বৈঠকে অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন ও অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রউফের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষকে মারধর করা হয়। আবার তারা বাদী হয়ে মারধরের শিকার ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বাদী ও তাদের সহযোগী কিশোরগঞ্জ আদালতের আইনজীবী হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারছেন না।