কোটা সংস্কারের দাবিতে পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে ৫টার দিকে শাহবাগে মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে রাস্তায় যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোডগামী, বাংলা মোটরগামী, মৎস্য ভবনগামী ও টিএসসিগামী রাস্তায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আন্দোলনস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন রয়েছে। শাহবাগ মোড়ে সাঁজোয়াযান নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম রয়েছে।
এর আগে গত ৬ জুলাই শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে আজকের সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা দেওয়া হয়। অর্ধদিবস ‘বাংলা ব্লকেড’ অনুযায়ী আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করার কথা রয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে এবং রেলপথও এই ব্লকেডের আওতায় থাকবে।
গত ৬ জুলাই শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়ক অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। যাকে বাংলা ব্লকেড হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যে কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুইদিন শাহবাগ, চানখারপুল, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিন্টু রোড, মৎস্য ভবন অবরোধ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ইডেন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট-সাইন্সল্যাব রোড অবরোধ করেন।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।