পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর হারের ব্যবধান আরও কমছে। এই ব্যবধান ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামছে। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর হার কমানোর যে প্রস্তাব করেছেন, তাতে এই ব্যবধান কমবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে তার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
ঘোষিত বাজেটে শর্তসাপেক্ষে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির (অর্থমন্ত্রীর ভাষায় পাবলিকলি ট্রেডেড নয়) আয় করের হার ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পরিপালন করলে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। আর শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হয় ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। অন্যদিকে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিগুলোকে কর দিতে হয় ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। সে হিসেবে তালিকাভুক্ত হলে একটি কোম্পানি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কর ছাড় পায়।
অর্থমন্ত্রী তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার বাড়িয়ে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং শর্ত পরিপালন করলে ২০ শতাংশ হারে করের প্রস্তাব করেছেন। অন্যদিকে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিগুলোর উপর ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। এ প্রস্তাব অনুমোদিত হলে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে মাত্র ৫ শতাংশ কর ছাড় পাবে। অর্থাৎ কর ছাড়ের হার ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে যাবে।
কয়েক বছর আগেও তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও তালিকাবহির্ভুত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে ১০ শতাংশ কর ছাড় পেতো। এটি কমতে কমতে এখন ৫ শতাংশে নামছে।
পুঁজিবাজারে ভাল কোম্পানির তালিকাভুক্তিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি (Listed Company) ও তালিকাবহির্ভুত কোম্পানির (Non-listed Company) মধ্যে কর হারের ব্যবধান বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে আসছিলেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। সেখানে এই ব্যবধান না বাড়িয়ে উল্টো কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ঘোষিত বাজেটে। এতে করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ কমে যেতে পারে কোম্পানিগুলোর।