প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে তৃতীয় ম্যাচ জিতে আবারও এগিয়ে সাউথ আফ্রিকার যুবারা। সিরিজে দুবার পিছিয়ে পড়লে শেষ দুই ম্যাচ জিতে ট্রফি নিজেদের কাছেই রেখে দিলো বাংলাদেশের যুবারা। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে আদিল সিদ্দিকী ও আরিফুল ইসলামের হাফ সেঞ্চুরিতে সাউথ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ৩-২ ব্যবধান সিরিজ জিতে নিলো স্বাগতিকরা।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২১১ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আদিল এবং চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে যোগ করেন ৪০ রান। ইনিংসের সপ্তম ওভারে গিয়ে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। লিয়াম অ্যাল্ডারের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রমাশান সোমাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৩ রান করা রিজওয়ান। তিনে নেমে অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি রিজান হোসেন। সেই অ্যাল্ডারকেই উইকেট দিয়ে গেছেন ৩ রান করা এই ব্যাটার। এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন আদিল ও আরিফুল। তারা দুজনে মিলে বাংলাদেশকে দারুণভাবে টানতে থাকেন। খানিকটা দ্রুতই রান তুলতে থাকেন বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটার।
অলিভার জেমসের বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে ৫১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আদিল। আরেক ব্যাটার আরিফুল পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৪৪ বলে। এদিকে হাফ সেঞ্চুরির পর আদিলকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি জুয়ান জেমস। উইকেটের পেছনে থাকা বেঞ্জামিন ম্যানুয়েল হ্যানসেনকে ক্যাচ দিয়ে ৫৮ রানে ফিরে যান আদিল। থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও সুবিধা করতে পারেননি নাঈম আহমেদ। জেমসের বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে আউট হয়েছেন ৮ রানে। অনেকটা সময় টিকে থাকলেও দ্রুত রান তুলতে পারেনি শিহাব জেমস। আক্রমণাত্বক ব্যাটার হলেও এদিন ৪২ বলে মাত্র ১৭ রান করে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন তিনি।
আশরাফুর জামান আউট হয়েছেন ৩ রান করে। দারুণ ব্যাটিং করা আরিফুল সাজঘরে ফিরেছেন ৭১ রানের ইনিংস খেলে। তাকেও আউট করেছেন জুয়ান জেমস। শেষ দিকে ১৫ রান করা মাহফুজুর রহমান রাব্বি এবং ৭ রান করা রাফি উজ্জামান মিলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন। সাউথ আফ্রিকার হয়ে অ্যাল্ডার চারটি এবং জেমস তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে ২১০ রানে অল আউট হয় সাউথ আফ্রিকা। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ডেভিড টেজার। এ ছাড়া জেমস ৩২, রিচার্ড ২৭ এবং অ্যাল্ডার ২০ রান করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে মাহফুজুর রাব্বি তিনটি উইকেট নিয়েছেন। রোহানাত বর্ষণ, রিজান এবং রাফি দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।