ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাটগুলোর প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। রাজধানীর প্রতিটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তের মেশিন ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, রাজধানীর দক্ষিণ সিটির ১০টি এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৯টি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করতে হবে। একইসাথে দেশের অনুমোদিত অন্যান্য কোরবানি পশুর হাটগুলোতে (উপজেলা সদর পর্যন্ত) জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করতে হবে। হাট শুরুর দিন হতে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত পশু ব্যবসায়ীদেরকে বিনামূল্যে এ সেবা দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় থাকবে ১৯টি ব্যাংকের বুথ। পশুর হাটগুলোয় সেবা দিতে ব্যাংকের মনোনীত কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বরসহ ব্যাংকের সমন্বয়ক হিসেবে মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বর বৃহস্পতিবারের (২২ জুন) মধ্যে ইমেইলে পাঠাতে হবে। ব্যাংকের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট এসব হাটে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের কার্যক্রম তদারকি করবে।
ঢাকার বাইরে যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসের নেতৃত্বে একই ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য আঞ্চলিক কার্যালয়কে নির্দেশনা দিতে হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই এমন জেলাগুলোর সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, থানা বা উপজেলার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংকের শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে