নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা যাতে আচরণবিধি মেনে চলেন সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তাকে ভদ্রভাবে অবহিত করে বিরত থাকার অনুরোধ করতে হবে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকেই সংসদ সদস্যদের ইতিমধ্যে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিলেট শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সিলেট বিভাগের মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দীকি। এ সময় বিভাগের চার জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ছাড়াও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ২ ঘণ্টা রুদ্ধদার আলোচনা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি, ২টা রাজনৈতিক দল, এর মধ্যে একটার নিবন্ধন নাই। তাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। তারা ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা নির্বাচন থেকে চলে গেছে। এছাড়া একটি নিবন্ধিত দল উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কিন্তু বর্জন আমি দেখি নাই, আমার চোখে পড়ে নাই। বর্জন যারা করছে, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার তারা বর্জন করতেই পারে। তিনি বলেন, ভোটাররা যদি নির্বাচন বর্জন না করেন, তাহলে এসব বর্জনের কোনো প্রভাব পড়বে না।
নির্বাচনে সহিংসতার কোনো শঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সহিংসতা হয়নি। আগে ছিল প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত প্রচারণা। কিন্তু এবার আমরা একটু ভিন্নতা এনেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান দেওয়া যাবে যে, আমি ভোটের মাঠে আছি।
জাল ভোট হলে তাৎক্ষণিক সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ-ইসি হাবিব : বরিশাল ব্যুরো জানায়, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব খান বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে তাৎক্ষণিক সেই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভোটকে ঘিরে দেশের কোথাও কোনো ধরনের সহিংসতাও সহ্য করা হবে না।
বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী, রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।