বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ১২শ থেকে কমে ৭শ নেমেছে দাবি করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও কম হবে। নদীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
৫৩ বছরে নৌপথে ২৩ হাজার মানুষ শহীদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার দাবি করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গা, ব্রম্মপূত্র আর মেঘনা তিনটা রিভার বেসিনের বা নদীর অববাহিকা উৎপত্তি দেশের বাইরে। এছাড়া নদী তিনটির ক্যাচমেন্ট এরিয়াও ( নদীর নিচু এলাকা যেখানে উচু এলাকা থেকে জল এসে জমা হয়) বাংলাদেশের বাইরে। মূলত সেই কারণেই নদীগুলোতে যাই করা হোক না কেন সংশ্লিষ্ট ঘটনার প্রভাব আমাদের নদীতে এসে পড়ে।
হাছান মাহমুদ বলেন, সবার জন্য সুষম পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিবেশিদের সহযোগিতা দরকার। নদীগুলোকে রক্ষায় যৌথ নদী কমিশনকে আরও কার্যকর করতে হবে। এজন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম করার প্রয়োজন আছে। আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা দাড় করানো গেলে সবাই উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হাছান মাহমুদ বলেন, শুধুমাত্র রাস্তা বিল্ডিং বানানোই উন্নয়ন নয়। কিন্তু আমরা এসবের পিছনেই বারবার ঘুরছি। এর বাইরে নদী ও পরিবেশ রক্ষ য় কিছু করবার জন্য টাকা খরচ করতে দেয়া হয় না। এছাড়া নৌপথে মেয়াদ উত্তীর্ণ নৌ যান এবং মালিকদের অতিরিক্ত লোভ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে তিনি মনে করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিমালয় থেকে উৎপন্ন নদীগুলো থেকে তেমন পানি আসছে না। সেই কারণে বনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বন কমে যাওয়ার দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়ছে আবহাওয়া ও জলবায়ুর ওপর। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সাধারণ মানুষও ভোগ করছে।
তিনি আরও বলেন, শহরের নদী ক্ষমতাধরদের হাতে কুক্ষিগত হয়ে মরে যাচ্ছে। এক কথায় ক্ষমতাবানসরা নদীকে গিলে খাচ্ছে। যারা নদীগুলোতে গিলে খাচ্ছে তাদের আবার নিজস্ব গণমাধ্যমও রয়েছে। তারা মিডিয়া পালছে যাতে কেউ কিছু করতে পারে না। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যাচ্ছে এসব ক্ষমতাবানরা নদী দখল করে বসে আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কর্ণফুলীতে বিভিন্ন সংস্থার দখল অনেক বেশি। কর্ণফুলীর মতো বুড়িগঙ্গাও এখন আক্রান্ত। বর্তমানে বুড়িগঙ্গার দূষণ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গত ৫০ বছরে মানুষ বাড়ার কারণে পানির ব্যবহারও বাড়ছে। এসবের প্রভাবও নদীর ওপর সরাসরি পরছে। উপরিভাগ ও অভ্যন্তরের পানির ওপর চাপ দিনকে দিন বাড়ছে। পানির স্তরও নীচে নেমে যাচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম আজিমের (আনার) হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটনে দুই দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিবিড় যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।