রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাদুঘরে কাউকে আজ যেতে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওই এলাকা দখলে রেখেছিল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা।
বিবিসি জানিয়েছে, এই অবস্থানকারীদের মধ্য শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষ ছিল। তাদেরকে রাস্তায় জোরপূর্বক বিভিন্নজনের মোবাইল ফোন চেক এবং কয়েকজনকে মারধরও করতে দেখা গেছে। কিছু মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে যাদেরকে পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলছে অবস্থানকারীরা। এসময় সাংবাদিকদেরও ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পথচারীদের ফোন চেকিংয়ের ঘটনায় বিভিন্ন জনের তরফ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসার পর এটির নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগ ফোন চেক করলেও প্রাইভেসি লঙ্ঘন, আপনারা আজকে যেটা করলেন সেটাও প্রাইভেসি লঙ্ঘন। প্রাইভেসি লঙ্ঘন যেই করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।’
এদিন সকাল সাতটার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী ৩২ নম্বরের গিয়েছিলেন। নিগৃহীত হতে হয়েছে তাকেও।
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
কাদের সিদ্দিকী পরে বলেন, ‘আমি সকাল সাতটার দিকে ফুল দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দিতে পারিনি। খুবই ভালো লেগেছে যে দু-একজন সালাম দিয়ে বলেছে আপনি ফিরে যান। আমি গাড়ির ভেতরে ছিলাম। কয়েকজন ঢিল ছুড়েছে। লাঠি দিয়ে গাড়ি ভেঙেছে। তারপর আমি চলে এসেছি।’
এরপর যিনি বা যারাই গেছেন, তাদের কেউই ঢুকতে পারেননি। যাকে পাওয়া গেছে, ধাওয়া দিয়েছে বা প্রচণ্ড মারধর করেছে। পুরো এলাকার একই চিত্র ছিল দিনভর।