ঢাকার আমিনবাজারে দেশের প্রথম বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএমইসি)। রাজধানীর আবর্জনা থেকে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে প্রকল্পটি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ করে ২০২৬ সালের জুলাই থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও জনবল কাজে লাগিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। তারা দিনরাত পাইলিংয়ের কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সিএমইসির কাছে সাইটটি হস্তান্তর করতে দেরি হওয়াই প্রকল্পটি দেরিতে শুরু হয়েছে। পাইলিং কাজের জন্য জমি প্রস্তুত করতে আমাদের প্রচুর সময়ের প্রয়োজন হয়েছিল।
সরকারি সূত্র জানায়, দেশের প্রথম বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর সিএমইসির সঙ্গে চুক্তি সই করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে দৈনিক ৩ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য সরবরাহ করবে ঢাকা নগরী। ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এ কেন্দ্র থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা (প্রতি ইউনিট) বিদ্যুৎ ১৮.২৯৫ টাকার সমপরিমাণ ২১ দশমিক ৭৮ সেন্ট দিয়ে কিনবে বিপিডিবি।
প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি আনুষঙ্গিক চুক্তি সই হয়। এর অধীনে আমিনবাজারে বর্জ্য পুড়িয়ে প্রক্রিয়াকরণ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৩০ একর জমি দেওয়ার কথা ডিএনসিসির এবং সেখানে সিএমইসি প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করবে। একইঙ্গে অর্থ ছাড়ের ২৪ মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে। প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে প্রয়োজনীয় লাইন নির্মাণ করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৬ হাজার ৫০০ টনেরও বেশি আবর্জনা উৎপন্ন হয়। আমিনবাজারে প্রস্তাবিত বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন হবে।