রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানগুলো সংগ্রহ করে দেশবিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সারা দেশে আমাদের সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এগুলো সংগ্রহ করে দেশবিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনের দর্পণ এবং সংস্কৃতিই ব্যক্তি, জাতি ও দেশের প্রকৃত পরিচয় বহন করে।
তথ্যের অবাধ প্রবাহের ফলে সারা বিশ্ব এখন একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, আকাশ সংস্কৃতির ডামাডোলে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। গ্রাম-শহর নির্বিশেষে তথ্যপ্রযুক্তি এখন সবার জীবনে প্রভাব ফেলেছে। আকাশ সংস্কৃতি বিভিন্ন দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতে দ্রুত প্রভাবও বিস্তার করছে।
রাষ্ট্র প্রধান তরুণ প্রজন্মকে বাংলার প্রাচুর্যে ভরা সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করাতে সাহিত্যিক, নাট্যকার, নির্মাতা, সংগ্রাহক, গবেষকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সচেতন করে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের শিকড়ের সন্ধান দিতে হবে, জানাতে হবে আমাদের গৌরবদীপ্ত অতীতের কথা।
রাষ্ট্রপতি দেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও এই উন্নয়নের ছোঁয়া স্পষ্ট। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতি ও দেশজ সংস্কৃতিকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে এ আয়োজনের প্রশংসা করেন তিনি।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি ও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি ও সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ম. হামিদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব আবদুস সামাদ, ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।