পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গত দেড় দশকে নারীর ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু পরিবর্তনটা টেকসই নয়। যেকোনো সময় এর ওপর একটা চাপ আসতে পারে।
বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহে মেয়েদের শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে আজ সোমবার রাজধানী বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। আবার গ্রামের এই মানুষগুলো অধিকাংশই দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি অবস্থান করে। তাদের মধ্যে নারীর উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরতে এবং এই বিষয়ে কাজ করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের বেড়া ভেঙ্গে তাদের মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আশার কথা হলো দেশের মানুষের মাঝে সম্পদ শেয়ার করার মানসিকতা বেড়েছে। খবর বাসস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক গর্ভনর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান বলেন, শিক্ষা হলো সভ্যতায় পৌঁছানোর মহাসড়ক। সেখানে প্রয়োজন গুণগত শিক্ষা। কিন্তু আমরা গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটের কারণে নারীদের শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি পাঠ্যক্রমে আনতে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কোনো সম্ভাব্য সংকট নয় বরং এই মুহূর্তের সংকট। যদিও এই সংকটের কারণ বাংলাদেশ নয় তারপরও এর প্রভাব বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। জলবায়ু প্রভাবজনিত বা মানবসৃষ্ট এই দুর্যোগে নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মালালা ফান্ড-এর সহযোগিতায় পপি, ডিআরআরএ ও সিডিএফ সম্মিলিত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে পপি’র নির্বাহী পরিচালক মুর্শেদ আলম সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ্ এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিএফ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ডিআরআরএ-এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমীন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালালা ফান্ড বাংলাদেশ-এর ইন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মোশারফ তানসেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,এই সম্মেলন থেকে থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বিপর্যস্ত অঞ্চলসমূহে মেয়েদের শিক্ষা প্রসারের বাঁধা ও এক্ষেত্রে বিভিন্ন সুপারিশমালা উঠে আসে।