পাকিস্তান ক্রিকেটে ওয়াসিম ও ওয়াকারের টু ডব্লিউ যুগের পর শোয়েব আখতার ছিলেন প্রধান অস্ত্র। তাকে সঙ্গ দিতে প্রথম এসেছিলেন মোহাম্মদ আসিফ। এক কথায় বলতে গেলে— পাকিস্তান ক্রিক্রেটে প্রতিভাবান ফাস্ট বোলারের অভাব ছিল না কোনোকালেই।
এর পরেই আগমন মোহাম্মদ আমিরের। ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। সারাবিশ্বেরই অন্যতম সেরা প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার ছিলেন আমির।
কিন্তু নিজের নামের পাশে যুক্ত হওয়া এতবড় তকমা সেই অল্প বয়সে নিতে পারেননি আমির। ২০০৯ সালেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা আমির পরের বছরই জড়িয়ে যান ফিক্সিংয়ের সঙ্গে। ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিলেন ৫ বছর।
এর পর ফিরে এসে আবার নিয়মিত হয়েছেন জাতীয় দলে। জিতেছিলেন ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা। যদিও এ মুহূর্তে দল থেকে বাইরে তিনি। অভিমানে সরে গেছেন সবুজ জার্সি থেকে।
লম্বা ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এসে সেই ফিক্সিং নিয়ে আবার বিতর্কে পড়েছেন তিনি। গ্যালারি থেকে ফিক্সার ডাক শুনে মেজাজ হারালেন এই পাকিস্তানি পেসার। তর্কও করেছেন দর্শকদের সঙ্গে। সেই ভিডিও আবার ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ঘটনা রোববার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স এবং কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ম্যাচের। আমির খেলছিলেন কোয়েটার হয়ে। বাউন্ডারির লাইনের কাছে তিনি ফিল্ডিং করার সময়
গ্যালারিতে থাকা এক দর্শক ‘ফিক্সার’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। আমিরের বুঝতে অসুবিধা হয়নি, তিনি বিদ্রূপের শিকার। শুরুতে এড়িয়ে গেলেও, পরে ঠিকই চটে যেতে দেখা গেল তাকে।
রোববারের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে লাহোরকে হারিয়ে পিএসএলের নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে কোয়েটা। আর টানা হারের বৃত্তে থাকা লাহোরের বিদায় হয়েছে সবার আগে।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডে ফিক্সিংয়ে জড়ান আমির। সেই ঘটনা নিয়েই গ্যালারিতে থাকা ভক্তরা বিদ্রূপ করছিলেন আমিরকে। কয়েকবার ‘ফিক্সার’ বলে চিৎকার করার পর মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি।
সেই দর্শকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় আমিরকে। উত্তেজিতভাবে তাকে কিছু বলেছিলেন ৩১ বছরের এই পেসার। যদিও এমন আচরণের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা জানা যায়নি।