পাঁচ দিনের সফরে থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া দেশটিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনেও যোগ দেবেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম সফর এটি। দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সফর উভয় দেশের জন্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
সফরসূচি অনুযায়ী, ২৪ এপ্রিল ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন।
ব্যাংককে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ওইদিন থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। একই দিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সমাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এই সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন এবং রানী সুথিদার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ হবে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। মোট ৫টি সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শুল্ক, জ্বালানি এবং পর্যটন খাতে সহযোগিতার তিনটি সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে আলোচনা হবে বলেও কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।