সাভারের হেমায়েতপুর জোরপুল এলাকায় তেলবাহী লরি উল্টে পাঁচটি গাড়িতে আগুনের ঘটনায় সাত জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অগ্নিদগ্ধ দুই জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার এ ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় আটজনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তারা হলেন– মিলন মোল্লা (২২), শিশু মিম (১০), আল আমিন (৩৫), নীড়াঞ্জন (৪৫), ট্রাকের হেলপার হেলাল (৩০), সাকিব (২৪), আবদুস সালাম (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (৪৫)। এর মধ্যে নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আজ সকালে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে আট জনকে দগ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকি সাত জনকে জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের ড্রেসিং সম্পন্ন না হলে দগ্ধের পরিমাণ জানা সম্ভব হচ্ছে না। দগ্ধদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের জোরপুল এলাকায় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তেলবাহী লরি উল্টে আগুন ধরে যায়। পরে সেটি পাশের প্রাইভেটকারসহ ৫টি ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতের নাম ইকবাল। তিনি যশোরের চৌগাছা থানার বাসিন্দা।