উজানে ভারত থেকে আসা পানির কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি ও ফসলী জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার পানি দুপুর পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির লেভেল ৫২ দশমিক ১৫ মিটার অতিক্রম করে ৫২ দশমিক ৩০ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।'
অন্যদিকে গতকাল তিস্তার দুই পাড়ের মানুষকে সরিয়ে মাাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষজন তাদের ঘর-বাড়িতে এখনও অবস্থান করছেন। শুধু চরাঞ্চলের কিছু পরিবার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।
তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, গতকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড় বন্যা হবে, এই চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি নাই আমরা। স্থানীয় প্রশাসন গতকাল এসে সাবধানে থাকতে মাইকিং করে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে এবং কুড়িগ্রাম জেলা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা ক্যালকুলেশন করে দেখেছি তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।