নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকের মুনাফা বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের। একই সময়ে মুনাফা কমেছে ইস্টার্ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের। তবে এই সময়ে আগের বছরের মতোই মুনাফা হয়েছে সিটি ব্যাংক লিমিটেডের।
ব্যাংক চারটির ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে যমুনা ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় বা মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা; যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা।
অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৬ পয়সা করে। তাতে ৩১ মার্চ ২০২৩ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ৩১ টাকা ৩৩ পয়সা।
একই সময়ে মুনাফা অপরিবর্তিত রয়েছে সিটি ব্যাংক লিমিটেডের। নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়েও ইপিএস ছিল ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে মুনাফা বাড়েনি কিংবা কমেনি।
গত বছরে এই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৮ টাকা ৮৪ পয়সা।
তবে মুনাফা কমেছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল)। ব্যাংকটির চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা; যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ১১ পয়সা।
ইপিএস কমায় ৩১ মার্চ সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ২৯ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল ৩০ টাকা ৯৪ পয়সা।
এছাড়াও এক্সিম ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা; যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২৫ পয়সা।
অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে মুনাফা কমেছে ১১ পয়সা করে। তাতে ৩১ মার্চ ২০২৩ ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২২ টাকা ১৩ পয়সা; যা এর আগের বছর ছিল ২১ টাকা ৯৭ পয়সা।