বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধে ঢাকাসহ সারাদেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে দুপুরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিকদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারের অবরোধ উপেক্ষা করে ঢাকাসহ সারাদেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে টানা তিনদিন ঢাকাসহ সারাদেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সারাদেশের পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় পরিবহন নেতারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত সমাবেশ ও হরতাল কর্মসূচির নামে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৩টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করেছে এবং শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এছাড়া ঢাকায় অছিম পরিবহনের গাড়িতে থাকা নাঈম নামে একজন শ্রমিককেও পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আন্দোলনের নামে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।
নেতারা এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জরুরিভাবে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
এছাড়া সামনের অবরোধের দিনগুলোতে গাড়ি চলাচল যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য রাজধানীসহ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানান তারা।