ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব এন্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো আগামীকাল বুধবার (২৯ মে) রাতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তিনি পানামার নাগরিক।
আইএমও’র মহাসচিব পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে সম্মান প্রদর্শন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
ওই দিন দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করবেন। বিকেলে তিনি নৌপরিবহন অধিদপ্তর পরিদর্শন করবেন। সেখানে তাকে এস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস এন্ড সেইফটি সিস্টেম এন্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস) প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত করা হবে।
ডোমিনগেজ ৩১ মে সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। এসময় ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস), মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, সিঙ্গেল বয়া মুরিং ও অন্যান্য বন্দরের ওপর তাকে ব্রিফ করা হবে। মহাসচিব সেদিন বিকেলে চট্টগ্রামে শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করবেন।
পহেলা জুন মহাসচিব চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি পরিদর্শনে যাবেন এবং সেখানে বাংলাদেশে মেরিটাইম শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তাকে ব্রিফিং করা হবে। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের ক্যাডেটরা চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করবেন। ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ল’ ইনস্টিটিউট এর গ্রাজুয়েট ছাত্ররা তাকে সংবর্ধনা দেবে। সন্ধ্যায় ঢাকায় তার সৌজন্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ২ জুন (রোববার) সকালে তিনি যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জাহাজ দ্বারা সামুদ্রিক ও বায়ুমন্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে থাকে। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৭৬টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা। আইএমও-এর প্রধান কার্যালয় লন্ডনে অবস্থিত।
বর্তমান মহাসচিব ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আইএমও’র মহাসচিব নির্বাচিত হন। তিনি আইএমও’র ১০ম মহাসচিব। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আইএমও’র ৩৩ তম অধিবেশনে সেটি অনুমোদিত হয়। পহেলা জানুয়ারি ২০২৪ থেকে তার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থাকবেন। বাংলাদেশে তার এ সফর আন্তর্জাতিক মেরিটাইম খাতে দেশের ভামূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। আইএমওতে বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে আইএমওতে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১ ডিসেম্বর আইএমও নির্বাহী পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য ক্যাটাগরি-‘সি’ তে জয়লাভ করেছে।