দেশব্যাপী এক কোটি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে সুলভ মূল্যে খাদ্যদ্রব্যে বিক্রি শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতি মাসের শুরুতেই এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। প্রতিবারের মতো ডিসেম্বর মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আগামী জুনের মধ্যে দেশের এক কোটি মানুষের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শেষ হবে। এই ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ লাখ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় দেশের একটি কোটি মানুষের হাতে সুলভ মূল্যে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে। এই এক কোটি মানুষ মানে আরও দুই কোটি মানুষ যোগ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না করে এজন্য স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানান, বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর রাজধানীতে সব জায়গায় টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সেই সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিসেম্বর মাসে টিসিবির কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি পেঁয়াজ ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রাপ্যতা সাপেক্ষে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কার্ডধারীরা ডিলারের দোকান বা সিটি কর্পোরেশন, জেলা ও উপজেলায় নির্ধারিত স্থায়ী ডিলারের কাছে থেকে এসব পণ্য কিনতে পারবেন।