ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিট কয়েনসহ অন্যান্য ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার রোধে উচ্চতর প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
তিনি বলেন, ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার ঠেকাতে দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডিজিটাল অ্যাসেটস সংক্রান্ত মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলা হবে।
সোমবার (২০ মে) সিআইডি সদর দপ্তরে ডিজিটাল সম্পদ সুরক্ষা: ম্যালওয়্যার বিশ্লেষণ, হ্যাকিং কৌশল এবং ক্রিপ্টো প্রতিরোধ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে মানুষ প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আমাদের দৈনন্দিন সব কাজই কোনো না কোনোভাবে তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। এখন মানুষ খুব সহজে সেকেন্ডের মধ্যে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারছে। মুহূর্তের মধ্যে তার ডিজিটাল ডিভাইসে রাখা ব্যক্তিগত তথ্য, ফাইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য ব্যবহার করতে পারছে। এতে করে মানুষ যেমন সুবিধা ভোগ করছে, তেমনি কিছু ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাইবার হ্যাকার ও অপরাধীরা ঝুঁকিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ যেমন-সাইবার প্রতারণা, অর্থ লোপাট, সাইবার অ্যাটাক, পর্নোগ্রাফি, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ডেটা ব্রিচ, সাইবার বুলিংসহ নানা ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছে।
এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত পূর্বক আইনের আওতায় আনাসহ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ডিজিটাল মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার রোধে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই
কর্মশালায় মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।