ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার ৪০০ কোটি টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে এই তহবিলের আকার ছিলো ১০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই তহবিলের আকার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে তাদেরকে স্বল্প সুদে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদান এবং সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে ইতঃপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়। এই তহবিলের আকার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সম্প্রসারণ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত ও উৎসাহিত করার মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এই তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের জুনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, এ তহবিল থেকে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। এই ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৬ মাস। এ তহবিল থেকে ডিজিটাল মাধ্যম (ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ই-ওয়ালেট ইত্যাদি) ব্যবহার করে তফসিলি ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হবে।
ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে