চলতি বছরের মার্চে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে ১৭ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯২ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৯ টাকা।
অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সরকার ৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, মার্চ জুড়ে টালমাটাল ছিল পুঁজিবাজার। বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতা না থাকায় বিদায়ী মাসে ডিএসইতে ৯ হাজার ৪০৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। সেখান থেকে লেনদেনের ওপর কমিশন বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯২ টাকা।
ঠিক এক বছর আগে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ১৮ হাজার ৫৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সেখান থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৯ টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সরকার ডিএসইতে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, দুই ধরনের শেয়ার কেনাবেচা থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে। প্রথমটি হলো- কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনাবেচা থেকে রাজস্ব আয়। দ্বিতীয়টি হলো- বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচায় ব্রোকারেজ হাউজের ওপর আরোপিত কর।
ডিএসইর তথ্য মতে, দুই ধরনের করের মধ্যে প্রথমটি হলো- ডিএসইর স্টেক হোল্ডারদের দৈনিক লেনদেনের ওপর দশমিক ০৫ শতাংশ কর। এ খাত থেকে মার্চে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৮ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৬১ টাকা।
অন্যদিকে, বিএসইসি রুলস ৫৩-এম অনুসারে, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার কেনাবেচা বাবদ লেনদেন ও শেয়ার হস্তান্তর থেকে ৫ শতাংশ হারে কর বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছে ৮ কোটি ৩১ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৪ টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৮ টাকা।
এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিয়েছে।
এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইর রাজস্ব আয় ছিল ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬২ টাকা। সে হিসেবে মাসের ব্যবধানে ডিএসইর রাজস্ব আয় বেড়েছে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৩০ টাকা।