এবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালকরা পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করা শুরু করেছেন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে মৌখিক নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তারা পদত্যাগ করছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বুধবার (২১ আগস্ট) ডিএসইর পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক মেইল ও হার্ডকপির মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি একজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ট্রান্সফার হয়ে গেছেন। আর এর আগে ডিএসইর চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে, সিএসইতেও স্বতন্ত্র পরিচালক রয়েছেন মোট সাত জন। এর মধ্যে সিএসইর দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক ইতিমধ্যে পতদ্যাগ করেছেন। বাকিরা বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের এমডিদের বিএসইসির পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র সব পরিচালককে পদত্যাগের বিষয়ে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি মৌখিক নির্দেশনায় এসব পরিচালক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, তাহলে তাঁদের অপসারণের বিষয়ে উদ্যোগ নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। যেহেতু স্টক এক্সচেঞ্জের স্বতন্ত্র পরিচালকেরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি, তাই বিএসইসি শুরুতে তাদের অপসারণ না করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সুযোগ দিতে এই নির্দেশনা দেয়।
ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন- চেয়ারম্যান হাফিজ মো. হাসান বাবু, সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন, ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা, সাবেক ব্যাংকার শাহেদুল ইসলাম ও মানবাধিকার কমিশনের সদস্য কাউসার আহমেদ।
সিএসইতর স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলো- চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, সাবেক ব্যাংকার আবদুল হালিম চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কাশহিফ রেজা চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইশতার মহল, সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ নকিব উদ্দিন খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসার প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক রেজওয়ানুল হক খান।